ছালাম কাকলী:

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরিফ একটি ষড়যন্ত্র মামলা থেকে জামিনে আসার পর কালামারছড়া বাসীর দেয়া সংবর্ধনা ও বিজয় অনুষ্টানে বলেছেন জাতীর শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীদের সাথে মরণপন যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতা চলাকালে স্বাধীনতা বিরোধিরা আমার দাদা মো: শরিফ চেয়ারম্যানকে হত্যা করেছিল। এমন কি আমার দাদাকে কবরস্থ করা হয় তৎকালিন কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালামের তত্বাবধানে কক্সবাজারস্থ বড় কবরস্থানে। এ শহিদ পরিবারকে হত্যা করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধিরা এখনো এলাকায় নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। এমনকি আমার পিতা ওসমান চেয়ারম্যানকে হত্যা করার পর ঐ স্বাধীনতা বিরোধিরা নব্য আওয়ামীলীগ সাজিয়ে গুটিকয়েক নেতাকে সাথে নিয়ে আমাকে এবং আমার আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা দায়ের করায় আমার চাচা মোস্তাফা এখনো জেলে বন্দি রয়েছে। আমি সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছি। স্বাধীনতা বিরোধিরা ভবিষ্যতে যাতে আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করতে না পারে সে দিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধায় কালামারছড়া মাঠে তাকে দেয়া এক সংর্বধনা ও বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

কালামারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার বশির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর জিয়াবুল হক, কালামারছড়ায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বদন, আওয়ামীলীগ নেতা আমান উল্লাহ তোতা, কৃষকলীগ নেতা গিয়াস উদ্দীন, আব্দুচ ছালাম , দরাজ উল্লাহ । উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেম মেম্বার , শরিফুল ইসলাম মেম্বার , মোজাম্মেল হক মেম্বার , আমির হোছেন মেম্বার , ইয়াছিন আরফাত , লিয়াকত আলী মেম্বার , মোস্তাক আহমদ , মাওলানা সিরাজুল ইসলাম , আব্দুল হাকিম , মিজানুর রহমান চৌধুরী । পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন নুরুল আলম টিপু । উল্লেখ্য তাকে বদরখালী ব্রিজ থেকে কয়েক হাজার লোক শো-ডাউনের মাধ্যমে বরণ করে কালামারছড়ায় নিয়ে যায়।